Friday, March 16, 2012

জীববৈচিত্র্য: বিপন্ন প্রাণীর তালিকায় উড়ন্ত কাঠবিড়ালি

জীববৈচিত্র্যবিপন্ন প্রাণীর তালিকায় উড়ন্ত কাঠবিড়ালি
- বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, শ্রীমঙ্গল

শ্রীমঙ্গলের লাউয়াছড়া উদ্যানে সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে হঠাৎ করেই হয়তো চোখে পড়ে যেতে পারে উড়ন্ত কোনো কাঠবিড়ালি। রাতের নির্জনে চরে বেড়ানো ও খাবার সংগ্রহ করা এই প্রাণীর জন্মগত অভ্যাস। এক গাছ থেকে অন্য গাছে লাফ দিয়ে চরে বেড়ায় বলে প্রাণীটির নাম 'উড়ন্ত কাঠবিড়ালি'। কেউ কেউ একে 'উড়ুক্কু কাঠবিড়ালি'ও বলে থাকেন। তবে এ প্রাণী এখন উঠে এসেছে পৃথিবীর বিপন্ন প্রাণীদের তালিকায়। উড়ন্ত কাঠবিড়ালিকে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) ২০১১ সালে বিশ্বে মহাবিপন্ন প্রাণীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।
কাঠবিড়ালি আমাদের কাছে অতি পরিচিত হলেও উড়ন্ত কাঠবিড়ালি একটু অপরিচিতই থেকে গেছে। উড়ন্ত কাঠবিড়ালি সাধারণ কাঠবিড়ালির চেয়ে চলাফেরা ও আকারে একটু আলাদা। উড়ন্ত কাঠবিড়ালি বলা হলেও এরা কিন্তু পাখি বা বাদুড়ের মতো ওড়ে না। তবে বাতাসে ভেসে বেড়াতে পারে। প্যাটাগিয়া নামের এক ধরনের বিশেষ পর্দার সাহায্যে কিছু সময় বাতাসে ভেসে থাকতে পারে এরা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মনিরুল এইচ খান বলেন, 'এই উড়ন্ত কাঠবিড়ালির ইংরেজি নাম Red giant flying squirrel দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশে এদের দেখা মেলে। বাংলাদেশে আরো দুই প্রজাতির উড়ন্ত কাঠবিড়ালি দেখা যায়। এদের ইংরেজি নাম Hodgson's flying squirrel এবং Particolored flying squirrel. এরা চিরসবুজ বনাঞ্চলের বাসিন্দা। প্রাকৃতিক চিরসবুজ বন যেহেতু কমে যাচ্ছে সেহেতু এদের বর্তমান অবস্থা ভালো নয়। তিন প্রজাতির উড়ন্ত কাঠবিড়ালি ছাড়াও সাত প্রজাতির সাধারণ কাঠবিড়ালি পাওয়া যায় আমাদের দেশে।'
এদের দুই হাত ও দুই পায়ের সঙ্গে শরীরের পাশ থেকে বের হয়ে আসা এক ধরনের স্থিতিস্থাপক চামড়া সংযুক্ত থাকে। এই চামড়া কিছুটা প্যারাশুটের মতো ফুলিয়ে হাওয়ায় ভেসে এক গাছ থেকে আরেক গাছে চলাচল করে এ কাঠবিড়ালি। এরা সাধারণ কাঠবিড়ালির চেয়ে বেশি দূরত্বে লাফিয়ে পাড়ি দিতে পারে। এরা এক গাছ থেকে অন্য গাছে লাফিয়ে যাওয়ার সময় অনেকক্ষণ বাতাসে ভেসে থাকতে পারে। আর তা দেখে মনে হবে, এরা আসলে উড়ে উড়েই চলাফেরা করে। বিশ্রামের সময় তাদের ওই শারীরিক প্যারাশুটটিকে চোখে দেখা যায় না। স্থিতিস্থাপকতার কারণে এ প্যারাশুটটি তাদের শরীরের সঙ্গে লেগে থাকে। এরা এক গাছ থেকে অন্য গাছে দেড় শ থেকে দুই শ ফুট দূরত্বে লাফাতে পারে। ওড়ার সময় পেছনের লেজকে এরা লাগাম হিসেবে ব্যবহার করে। বছরের মার্চ-এপ্রিল মাসে দুই থেকে চারটি বাচ্চা প্রসব করে। পুরনো গাছের গর্তে বা কোটরে এরা বাসা বাঁধে ও বাচ্চা দেয়। জন্মের সময় এরা অন্ধ ও লোমহীন থাকে। এ প্রজাতির কাঠবিড়ালিরা দৈর্ঘ্যে ৪০ থেকে ৫০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে।
সিলেটের লাউয়াছড়া ও রেমা কালেঙ্গায়, চট্টগ্রামের টেকনাফের বন, কাপ্তাই ও বান্দরবানে চিরসবুজ গহিন বনে এরা বিচরণ করে থেকে। ভারত, মিয়ানমার, মালয়েশিয়া, নেপাল, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, চীন ও বাংলাদেশের বনাঞ্চলে এদের দেখা যায়। সাধারণত গহিন বনাঞ্চলে বিশেষ করে কচি কুমারী বনে এদের বসবাস।
ড. মনিরুল এইচ খান আরো জানান, উড়ন্ত কাঠবিড়ালি স্তন্যপায়ী ও নিশাচর প্রাণী। সন্ধ্যার দিকে এরা খাবারের খোঁজে আশ্রয়স্থল থেকে বের হয়। আবার ভোর হওয়ার আগেই ফিরে আসে। ফলে সচরাচর এদের দেখা পাওয়া যায় না। ১০-১২ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে এরা। তবে বিপন্ন বন্য পরিবেশ ও খাদ্য সংকটের কারণে এদের গড় আয়ু এখন অর্ধেকে নেমে এসেছে। বিরল প্রজাতির এই প্রাণী বনাঞ্চলে সাধারণত গাছের ফলমূল, বাদামজাতীয় খাবার, গাছের কচি কাণ্ড, ছোট গাছের কুঁড়ি, বীজ, অঙ্কুর, পাখির ডিম, গাছের বাকল, বাকলের নিচের পোকামাকড়, গাছের রস, পানের রস ইত্যাদি খেয়ে থাকে।
ফিনলে টি কম্পানির ভাড়াউড়া ডিভিশনের উপমহাব্যবস্থাপক গোলাম মোহাম্মদ শিবলী বলেন, 'আমাদের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান অনেক সমৃদ্ধ একটি বন। লাউয়াছড়াসহ অন্য বনাঞ্চলগুলোকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা না গেলে উড়ন্ত কাঠবিড়ালির মতো একটি মূল্যবান প্রজাতি এ দেশ থেকে চিরতরে বিলুপ্ত হয়ে যাবে।'
বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, 'উড়ন্ত কাঠবিড়ালিসহ বিভিন্ন দুর্লভ ও বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী সংরক্ষণে আমরা সর্বদা সচেষ্ট। লোকালয়ে এসে ধরা পড়া প্রাণীগুলোকে আমরা যত দ্রুত সম্ভব প্রায়োজনীয় চিকিৎসা শেষে আবার বনে ছেড়ে দিয়ে থাকি।'
Source: http://www.dailykalerkantho.com

বান্দরবানে উড়ন্ত কাঠবিড়ালি





মিনারুল হক
বার্তা২৪ ডটনেট

বান্দরবান, ৩ মার্চ: বান্দরবানের তারাছা ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকায় বিরল প্রজাতির উড়ন্ত কাঠবিড়ালির সন্ধান পাওয়া গেছে। এটিকে প্রাণী বিজ্ঞানীরা উড়ুক্কু কাঠ বিড়ালিও বলে থাকেন। স্থানীয়রা প্রাণীটিকে ধরলেও খবর পেয়ে বন বিভাগের কর্মীরা উদ্ধার করে ডুলহাজারা সাফারি পার্কে পাঠায়। উড়ন্ত কাঠবিড়ালিটি পৃথিবীর বিপন্ন প্রাণীদের তালিকার একটি।

শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলার তারাছা ইউনিয়নের ছাইঙ্গা এলাকার নতুন পাড়ার কাছের বনে এ প্রাণীটির সন্ধান পায় স্থানীয়রা। এটি ওইএলাকায় খুবই উৎপাত করছিল। তাই তাকে জাল দিয়ে ধরে ফেলা হয়।

খবর পেয়ে বন বিভাগের কর্মীরা প্রাণীটিকে উদ্ধার করে বন বিভাগের কার্যালয়ে নিয়ে আসে। এটি লম্বায় প্রায় সাড়ে পাঁচ ফুটের মতো। এর লেজটি প্রায় তিন ফুট লম্বা।

বাংলাদেশে পাওয়া নয় প্রজাতির কাঠবিড়ালির মধ্যে সব চাইতে দুর্লভ প্রজাতির কাঠবিড়ালি হল এই উড়ন্ত কাঠবিড়ালি। এটির নাম red giant flying squirrel বা উড়ন্ত কাঠ বিড়ালি। প্রাণী বিজ্ঞানীরা একে উড়ুক্কু কাঠ বিড়ালিও বলেন। এর বৈজ্ঞানিক নাম peturista peturista. দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশে এর দেখা মেলে। সবুজ বনাঞ্চলে এদের বাস।

মায়ানমার, ভারত, মালয়েশিয়া, নেপাল, কম্বডিয়া, থাইল্যান্ড, চায়না বাংলাদেশের বনাঞ্চলে এদের কখনো দেখা যায়।

বাংলাদেশে এর আগে এই কাঠ বিড়ালি টেকনাফের বন, কাপ্তাই, লাউয়া ছড়া, রেমা গালেঙ্গার বনাঞ্চলে ধরা পড়ে। তবে এ যাবত বান্দরবানে ধরা পড়া কাঠবিড়ালিটি সবচেয়ে বড় প্রজাতির বলে প্রাণী বিজ্ঞানীরা জানান।

এই কাঠ বিড়ালি patagia নামক এক ধরনের বিশেষ পর্দার সাহায্যে উড়তে পারে। এটি এক গাছ থেকে অন্য গাছে ৩০০ ফুট দূরত্বে লাফাতে পারে।

দেশের প্রখ্যাত প্রাণী বিজ্ঞানী ড. আনিছুজ্জামান খান ও চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক গাজি আছমত জানান, বিরল প্রজাতির এই প্রাণীটি বনাঞ্চলে সাধারণত গাছের ফলমূল, বাদাম জাতীয় খাবার, কচি কাণ্ড, অঙ্কুর, পাখির ডিম খেয়ে থাকে। গাছের গর্তে বা কোটরে এরা বাসা বাঁধে ও বাচ্চা দেয়। এরা স্তন্যপায়ী ও নিশাচর।

এই প্রাণীটিকে আই ইউ সি এন ( ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর করজারভেশন অফ নেচার) ২০১১ সালে বিশ্বে মহাবিপন্ন প্রাণীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছ

এদিকে বান্দরবানের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা তৌছিফুল বারী খান জানান বিপন্ন প্রাণীটিকে গবেষণার জন্য ডুলহাজরা সাফারি পার্কে পাঠানো হয়েছে।

Source: http://www.barta24.net


Tuesday, August 23, 2011

উড়ন্ত টিকটিকি

উড়ন্ত টিকটিকি
লিখেছেনঃ মাহবুব
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রানী জগতে সবাইকে স্বাগতম। অনেকটা বিচ্ছিন্নভাবে হলেও বিভিন্ন প্রানীর সাথে সবাইকে পরিচয় করার প্রয়াস চলছে অনেক আগে থেকেই। আজ উড়ন্ত টিকটিকি (Draco Lizard) সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। আট ইঞ্চি এই প্রানীর শরীরটা অনেকটা ভয়ানক ও চলাফেরায় রয়েছে রাজকীয় ভাব। খুব দ্রুত এক ডাল থেকে অরেক ডালে লাফ দেওয়া ও অনেকটা বাদুরের মতো উড়াল দেওয়ার চৌকশ কৌশল আছে তাদের।এ কারনে এদের উড়ন্ত ড্রাগনও বলা হয়।

flying-lizard-draco-gular-flap-wings-extended

বাতাসে ভেসে বেড়ানোর জন্য তাদের দুইটি পাখা ও দ্রুত লাফালাফিতে তাদের লম্বা লেজ সহায়তা করে। এই টিকটিকি সাধারনত মাটিতে নামে না তবে মাটিতে ডিম পেরে ঢেকে রাখে। প্রজনন ও বসবাসের জন্য গভীর জঙ্গলকেই তারা ভালবাসে।

এরা সাধারনতঃ পিঁপড়া ও পোকামাকর খেয়ে জীবন ধারন করে। অনেক সময় সাপ ও অন্যান্য বন্যপ্রানীর খাদ্য হিসেবে তাদেরকে জীবনদিতেও হয়। এদের সাধারনতঃ এশিয়ার ফিলিপাইন, ভারত, বাংলাদেশের গভীর বনাঞ্চলে দেখতে পাওয়া যায়।

ভিডিওঃ

http://www.youtube.com/watch?v=caUzdy6QqqE&feature=player_embedded

Friday, January 21, 2011

মানুষও শূন্যে ভাসতে পারে - Flying Man

পরিষ্কার আকাশে ডানা মেলে একঝাঁক পাখি যখন নিজের চোখের সামনে মনের খেয়ালে আকাশে উড়ে অথবা বিকট আওয়াজে মাথার উপর দিয়ে দ্রুতগতির বিমান উড়ে যায় গন্তব্যের দিকে, তখন যে কেউ ভাবতেই পারে- ইস! আমি যদি পাখি হতে পারতাম। যদি আমার পাখির মতো ডানা থাকত! আমরা কখনো যদি কোথা থেকে একবার লাফ দেই পরক্ষণে মধ্যাকর্ষণ শক্তির বলে আমরা আবার মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। মানুষ আকাশে উড়তে পারে না এই মাধ্যাকর্ষণ শক্তির বাধার কারণে। তাই বলে মানুষ পারে না এমন কাজ আছে? নিরন্তর সাধনার মাধ্যমে মানুষ কিন্তু এই মধ্যাকর্ষণ শক্তিকে পরাভূত করে শূন্যে ভেসে থাকতে পারে। তবে তার জন্য যে সাধনা দরকার তার নাম গভীর ধ্যান। আমাদের পাশের দেশ দক্ষিণ ভারতের এক ভিক্ষুক সুবাইয়া পুলভার ১৯৩৬ সালে দেড়শ' লোকের সামনে টানা ৪ মিনিট শূন্যে ভেসে ছিলেন। মানুষ অবাক হয়েছিল ফকিরের এই কাণ্ডে। ফকির নিশ্চয়ই চালাকি ধরেছে। আসলে ব্যাপারটিতে কোনো চালাকি ছিল না। উৎসুক মানুষ ব্যাপক অনুসন্ধান করে ভিক্ষুকের এই সাহসী কাজের মধ্যে চালাকির লেশ পায়নি। ১৯৩৬ সালে লন্ডন নিউজ ভিক্ষুক সুবাইয়া পুলভারের এই আজব ঘটনার কথা বিশ্বব্যাপী জানিয়ে দেয়, যা তখন বেশ আলোচনার ঝড় তোলে। সপ্তদশ শতাব্দীতে রোমে পোপ অষ্টম আরবানের সময়ে জোসেফ অব কপারটিনো নামে এক কৃষকের ছেলে লোকজনের সামনে আকাশে উড়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল। সে গির্জার উঁচু বেদির ওপরে প্রজ্বলিত বাতির ওপরে প্রায় ১৫ মিনিট ভেসে ছিল কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার তার শরীরের কোনো অংশ পুড়ে যায়নি। জোসেফ মাঝে মাঝে এরকম আজগুবি কাণ্ড করতেন। যখন শূন্য থেকে নামার সময় হতো তাকে নামার জন্য মই ব্যবহার করতে হতো। তবে অল্প কয়েকদিন পরে মারা যান এই জোসেফ। ডাক্তার এলেন জোসেফের বাড়িতে। ডাক্তার অবাক বিস্ময়ে লক্ষ্য করেন জোসেফের মৃতদেহ মাটি থেকে প্রায় এক ফুট ওপরে ঝুলে আছে। বিখ্যাত জাদুকর জন কিল তার 'জাদু' বইয়ে তিব্বত ও ভারতের শূন্যে ভাসা এমন বেশ কয়েকজন মানুষের পরিচয় দিয়েছেন। জন কিলের বইয়ের বিবরণ থেকে জানা যায় নাইয়াং পা নামক এক তিব্বতি লামা জন কিলের সামনে একটি লাঠিতে ভর করে দাঁড়িয়েছিলেন। এভাবে কিছুক্ষণ থাকার পরে তিনি লাঠির ওপরে পদ্মাসন রচনা করেন। জন কিল ভেবেছেন এটা আসলেই একটা প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয়! ভেবেছিলেন হয়তো লাঠির নিচে কোনো গর্ত করা থাকতে পারে। কিন্তু জন কিল ব্যর্থ হলেন। সেখানে এমন কিছুই ছিল না যে, যার ওপরে লোকটি এমন প্রতারণার আশ্রয় নিতে পারেন। এছাড়া সেন্ট টেরেসার মেয়ে আভিলা ধ্যানমগ্ন অবস্থায় মিনিটের পর মিনিট শূন্যে ভেসে থাকতে পারতেন। তিনি ছিলেন সন্ন্যাসিনী। আভিলার শূন্যে ভাষার পারঙ্গমতা দেখে আভিলার অনুসারীরা হা করে তাকিয়ে থাকতেন তার দিকে। কিন্তু নিজের এই অলৌকিক ক্ষমতার ব্যাপারে আভিলার কোনো মাথাব্যথা ছিল না। বন্ধুরা অবাক হলেও আভিলা মোটেও অবাক হন নি। বান্ধবীদের নিষেধ করেন কথাটা প্রকাশ না করতে। আভিলার নাকি শূন্যে উঠতে মন চায় না। আভিলার ভেতরে এক অদৃশ্য শক্তি নাকি তাকে এই কাজটি করতে বাধ্য করে। আভিলার কথায় এই তথ্য জানতে পেরেছিল তার বন্ধুরা। শূন্যে এ পর্যন্ত যত মানুষ ভেসেছে তার মধ্যে ভিক্টোরিয়ান ডানিয়েল ডগলাস হোম শূন্যে ভেসে থাকার চমক দেখিয়েছেন বেশি। তিনি কেবল শূন্যে ভেসে থাকতে পারতেন না, শূন্যে ভেসে থাকা অবস্থায় যেখানে খুশি সেখানে যেতে পারতেন। এমনকি ডগলাস যদি চেয়ারে বসে থাকতেন তিনি ইচ্ছা করলে চেয়ারসহ শূন্যে ভেসে থাকতে পারতেন। একবার তিনি নিজের বাড়ির জানালা দিয়ে শূন্যে ভেসে বেড়ানোর জন্য বাড়ির বাইরে বের হলেন। আবার কিছুক্ষণ পরে তিনি বাড়ির অন্য এক জানালা দিয়ে বাড়ির ভেতরে ঢুকে পড়েন। ছোট জানালা দিয়ে আস্ত একটা মানুষের ঢুকে পড়া কম আশ্চর্যের বিষয় নয়। এই সময়ে মাটি থেকে ডগলাসের উচ্চতা ছিল আশি ফুট। তবে ডগলাস যে এখানে চাতুরির আশ্রয় নিতেন তার প্রমাণ কেউ দিতে পারেন নি।

মানুষ কিভাবে শূন্যে ভাসতে পারে তার বৈজ্ঞানিক প্রমাণ না থাকলেও ব্যাপারটি যে একবারেই উড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা তা নয়। মানুষের ধারণা_ যেসব মানুষ কেবল অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী তারাই কেবল মাটি থেকে শূন্যে ভেসে থাকতে পারে। নিয়মিত ধ্যান আর মানসিক শৃক্সখলা এরকম অদ্ভুত শক্তি এনে দিতে পারে বলে সাধারণ মানুষের বিশ্বাস। শূন্যে ভেসে বেড়ানোর নিয়মটাও বেশ অদ্ভুত। প্রথমে শরীরকে আস্তে আস্তে দোলাতে হবে, তারপর ঘন ঘন দোলাতে থাকলে একসময়ে নাকি নিজের পুরো শরীরটা শূন্যে ভেসে বেড়াবে। তবে ধ্যানে বসার আগে পদ্মাসনে বসতে হবে এবং শূন্য থেকে নামার সময়ে হেলেদুলে নামা চলবে না, ধীরস্থিতভাবে নামতে হবে। তবে এই নিয়মটি যে কেউ প্রয়োগ করলে শূন্যে ভেসে থাকতে পারবে না। তার জন্য সাধনার দরকার। তবে আজো প্রশ্ন, মানুষ কেমন করে মাধ্যাকর্ষণ শক্তিকে পরাজিত করেছে। কেমন করে সম্ভব শূন্যে ভেসে বেড়ানো। আজো এইসব জটিল প্রশ্নের উত্তর মেলেনি।


আলমগীর কবীর

Source: Daily Bangladesh Pratidin, 22th January-2011

Monday, December 13, 2010

Blowing In The Wind: Seeds & Fruits Dispersed By Wind

Like an endless army of parachutists released from an airplane, seeds and fruits travel the wind currents and gentle breezes of the earth, possibly colonizing a distant mountain slope or fertile valley. Literally hundreds of species in many plant families have adopted this remarkable method of dispersal, including a variety of ubiquitous plants that we recognize as "weeds." The answer to why some weedy composites (such as the European dandelion) have worldwide distributions is truly "blowing in the wind" (to quote from the Peter, Paul and Mary song). Some of the ingenious adaptations for this method of wind dispersal include seeds that resemble parachutes, helicopters and gliders. In fact, one species (see opening photo) reportedly inspired the design of some early aircraft. An astronomer friend of Mr. Wolffia once observed a strange formation of flying objects through his telescope. He was focusing on a squadron of tiny parachute seeds high above his house. And the entire plant body of wolffa (the world's smallest flowering plant) may be transported by powerful cyclonic storms. In the southeastern United States there are records of wolffia plant bodies less than one millimeter long being carried by a tornado, and they have even been reported in the water of melted hailstones.
For More Information browse this website: http://waynesword.palomar.edu/plfeb99.htm#misc

A streamlined torpedo shape helps flying fish generate enough speed to break the water’s surface, and large, wing-like pectoral fins help get them airborne.

Flying fish can be seen jumping out of warm ocean waters worldwide. Their streamlined torpedo shape helps them gather enough underwater speed to break the surface, and their large, wing-like pectoral fins get them airborne.

Flying fish are thought to have evolved this remarkable gliding ability to escape predators, of which they have many. Their pursuers include mackerel, tuna, swordfish, marlin, and other larger fish. For their sustenance, flying fish feed on a variety of foods, including plankton.

There are about 40 known species of flying fish. Beyond their useful pectoral fins, all have unevenly forked tails, with the lower lobe longer than the upper lobe. Many species have enlarged pelvic fins as well and are known as four-winged flying fish.

The process of taking flight, or gliding, begins by gaining great velocity underwater, about 37 miles (60 kilometers) per hour. Angling upward, the four-winged flying fish breaks the surface and begins to taxi by rapidly beating its tail while it is still beneath the surface. It then takes to the air, sometimes reaching heights over 4 feet (1.2 meters) and gliding long distances, up to 655 feet (200 meters). Once it nears the surface again, it can flap its tail and taxi without fully returning to the water. Capable of continuing its flight in such a manner, flying fish have been recorded stretching out their flights with consecutive glides spanning distances up to 1,312 feet (400 meters).

Flying fish are attracted to light, like a number of sea creatures, and fishermen take advantage of this with substantial results. Canoes, filled with enough water to sustain fish, but not enough to allow them to propel themselves out, are affixed with a luring light at night to capture flying fish by the dozens. There is currently no protection status on these animals.

DOD tries to uncover secret of flying snakes

Washington Post Staff Writer
Monday, November 22, 2010; 11:37 PM

An unusual breed of Asian snakes can glide long distances in the air, and the Department of Defense is funding research at Virginia Tech to find out why.

Most animals that glide do so with fixed wings or a wing-like part. But not the "flying snakes" of Southeast Asia, India and southern China - at least five members of the genus Chrysopelea.

As video of the reptiles show, they undulate from side to side, in almost an air-slithering, to create an aerodynamic system. It allows them to travel from the top of the biggest trees in the region (almost 200 feet high) to a spot about 780 feet away from the tree's trunk.

"Basically . . .they become one long wing," said John Socha, the Virginia Tech researcher who has traveled extensively in Asia to study the snakes and to film them.

"The snake is very active in the air, and you can kind of envision it as having multiple segments that become multiple wings," he said. "The leading edge becomes the trailer and then the trailer become the leading edge."

It gets stranger. During a technique not yet understood, some of the snakes can actually turn in air. What's more, they all take a flying leap off their perch to get airborne, then drop for a while to pick up speed before starting the motion that keeps them aloft much longer than they would otherwise.

Socha's initial research was sponsored by the National Geographic Society, but his most recent work and paper were funded by the Defense Advanced Research Projects Agency. The agency is involved in advanced military technologies of all kinds, and Socha said the physical dynamics of snake flight (and how other creatures stay in the air) is of great interest to the agency.

DARPA did not respond to an e-mail asking for more information. However, Socha's upcoming paper on the dynamics of gliding snakes in the journal Bioinspiration and Biomimetics does list DARPA as its financial sponsor.

Socha was a featured speaker Monday at the annual meeting of the American Physical Society Division of Fluid Dynamics.

The snakes, Socha said, spend most of their lives in the trees. They are between 2 and 3 feet long and about as wide as a finger. The larger snakes, he said, generally cannot glide as far as the smaller ones.

The snakes are mildly venomous, he said, but "won't hurt a human, though they can be fatal to a gecko."

While the prospect of a flying snake seems strange today, current scientific theory says that birds evolved from dinosaurs, which were reptiles.

Flying Tree Snake

Flying Tree Snake
Chrysopelea spp.

whole length
If you are lucky, you may spot this elegant snake warming itself quietly in a sunny spot at Sungei Buloh Nature Park. But you have to be sharp eyed as they are well camouflaged.

They are the largest of the Flying Snakes, so named because they are the only snakes that can move through the air. They don't actually fly or glide but instead, perform a sort of parachute jump.
Soaring Serpents: To do this, they "suck in their guts" to form a U-shaped half-cylinder along the entire length of their bodies. The outer edges of their belly scales are rigid while the central portion of their belly scales fold upwards. This concave surface acts like a parachute, and increases air resistance to prolong the "flight".

The snake has some degree of control, undulating through the air as if swimming, holding its tail rigidly upwards and twisting the tail from side to side for balance. In this way, they can cross as much as 100m, although they crash land clumsily. This allows them to cross long distances quickly, perhaps to catch prey, escape predators or simply to move around. They generally parachute from tree to tree, but sometimes from tree to ground. To achieve this feat, they first have to climb up a tall launch point, which is not a problem as they have ridged (keeled) belly scales to help them grip vertical surfaces.

another close-up of headAlthough a cornered snake can be aggressive, the few snakes that I have come across in the park are shy and retiring. If they are left alone and observed from a distance, they remain motionless or quietly go about their business. Their venom is mild, and affects only their small prey. Their fangs are short, located at the back of the mouth, and are not hypodermic-like; the venom is injected through grooves in the fangs. Thus, they can only inject venom into prey that is well inside their mouths. As such, they hunt small prey like lizards, frogs, birds and bats. They stalk or pursue the prey and bite them on the neck. Small prey may be killed by their strong crushing jaws. Flying Snakes are active during the day and are mostly found in trees rather than on the ground.

showing red 'flower-like' markingsBreeding: Little is known about their breeding habits. They lay 6-11 eggs, hatchlings are 15-20cm long and have the same pattern as the adults but their colours are brighter.

Role in the habitat: Like other predators, they control the populations of their prey. They are also eaten by others higher up on the food chain.

Status and threats: Flying Tree Snakes are not endangered at present. They do not tame well and do poorly in captivity.

LINKS

  • Flying Snake Home Page by Jake Socha, University of Chicago: frequently asked questions on the species, quick-time video clips of their flight, photos, maps of their distribution, taxonomic details, heck everything you wanted to know about flying snakes.
  • Taxonomic List of Sri Lankan Snake Species: fact sheet on Chrysopelea ornata.
REFERENCES
  • Merel J. Cox, Peter Paul van Dijk, Jarujin Nabhitabhata and Kumthorn Thirakhupt, "A Photographic Guide to Snakes and Other Reptiles of Peninsular Malaysia, Singapore and Thailand", New Holland, 1998 (p. 66-67: description, photo).
  • Carl H Ernst and George R Zug, "Snakes in Question: Smithsonian Answer Book", Smithsonian Institution Press, 1996 (p.14-15: details on the mechanics of their flight).
  • Kelvin K P Lim and Francis L K Lim, "A Guide to The Amphibians and Reptiles of Singapore", BP Science Centre, 1992 (p. 67-68: habits, habitat, photo).

Other Note:
Mangrove and wetland wildlife at
Sungei Buloh Nature Park


Main features: Long, thin; mildly venomous, rear-fanged. Reaches 1-1.2m.
Status in Singapore: Common.
World distribution: Lowland rainforests of South and Southeast Asia from India to Southern China and the Philippines, down the Malay peninsula to Indonesia.
Classification: Family Colubridae, Genus Chrysopelea.
There are 5 species of Flying Snakes: Golden Tree Snake (C. ornata); Paradise Tree Snake (C. paradisi): much less common, sometimes with reddish-orange spots; Twin-banded Tree Snake (C. pelias); C. rhodopleuron; C. taprobanica.